Description
আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল । এটি ফাইবার , আন্টিঅক্সিডেন্ট ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ আখরোট এর ভেতরে থাকা নানাবিধ উপাদান মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপকারী।
আখরোট বাদামের উপকারিতাঃ-
১. হার্ট ভালো রাখে: হার্ট সুস্থ রাখতে আখরোট বিশেষ ভূমিকা পালন করে । এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে । ফলে হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমে যায় আর হার্ট সুস্থ এবং ভালো থাকে।
২. ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়: যারা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য চিকিৎসকরা আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । একটি গবেষণা মতে , যে নারীরা সপ্তাহে ২দিন ২৮ গ্রাম আখরোট খেয়েছে তাদের টাইপ- ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছে । যদিও গবেষণাটি শুধু নারীদের ওপর করা হয়েছিল কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ছেলেদের ক্ষেত্রেও কোনো হেরফের ঘটবে না।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: আখরোটে প্রোটিন , ফাইবার ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এর পরিমান যথাযথ ভাবে রয়েছে । এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডকে ‘গুড ফ্যাট ‘ বলা হয় , যা ওজন কমাতে সাহায্য করে । তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আখরোট রাখবে ।
৪. অনিদ্রা দূর করে: আখরোটে মেলাটোনিন নামক এক প্রকার যৌগ থাকে । এই মেলাটোনিন ঘুমের পক্ষে বিশেষ সহায়ক । কারণ শরীরে মেলাটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঘুম ভালো হয়। যারা অনিদ্রা রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত আখরোট খেলে এর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৫. স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে: আখরোটে থাকে বায়োটিন ( ভিটামিন বি সেভেন ) যা চুলকে শক্তিশালী করে । এই ভিটামিন চুল পড়া কমিয়ে চুলের গোড়া মজবুত করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: ত্বক উজ্বল ও টানটান রাখতে নিয়মিত আখরোট খান কারণ আখরোটে থাকে ভিটামিন ডি এবং প্রচুর পরিমানে আন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে free radical এর হাত থেকে রক্ষা করে এবং বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ।
৭. মানসিক অবসাদ দূর করে: আখরোট মানসিক অবসাদ দূর করতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে । পুষ্টিবিদদের মতে , একমুঠো আখরোট কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমায় । এই হরমোন মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । এছাড়া এতে থাকে ‘পলিঅ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট ‘ যা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । তাই মনে অবসাদ এলে আখরোট অবশ্যই খেতে ভুলবে না।
৮. মস্তিস্ক ভালো রাখতে: আখরোটে বেশ কয়েকটি নিউরোপ্রোটেক্টিভ যৌগ যেমন – ভিটামিন ই ,ফোলেট , মেলাটোনিন ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোট খাওয়া মস্তিস্ক স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। আখরোট এ থাকা উপাদান পারকিনসন্স রোগ এবং আলজাইমার’স হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় । স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের ফাংশন ভাল রাখে ।
৯. ক্যান্সার প্রতিরোধ: আখরোট খেলে তা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় বিশেষত অগ্ন্যাশয় , প্রস্টেট ও মলদ্বারের। আখরোটে থাকা গামা ,টোকোফেরল ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ইলেজিক গ্যালিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।
১০. পেটের সমস্যা দূর করে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে: পেট পরিষ্কার রাখতে শরীরে ফাইবার থাকা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত যে খাবারগুলি থেকে শরীরে প্রোটিন আসে ,সেগুলিতে ফাইবারের পরিমান অত্যন্ত কম । আখরোটে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
১১. গর্ভাবস্থায় উপকারী: গর্ভবতী নারী যাদের ডায়েটে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তাদের খাদ্যতালিকায় আখরোট রাখা উচিত । এটি গর্ভের শিশুর এলাৰ্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে ।
১২. হাড় শক্ত করে :- আখরোটে উপকারী ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে । আখরোট আর্থারাইটিস এর হাত এর হাত থেকেও মুক্তি দান করে থাকে ।
১৩. দীর্ঘায়ু লাভ: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে , প্রতি সপ্তাহে তিন দিন আখরোট খেলে দীর্ঘ এবং সুস্বাস্থ্য জীবন উপভোগ করতে পারবে ।
চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী আখরোট খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর থেকেই মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমান কমে যায় এবং ব্লাড ভেসেলের নমনীয়তা বেড়ে যায় । এছাড়া গবেষণা বলছে দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ কমাতে আখরোটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
কেনো নিবেন তোহফার Ahakrot(আখরোট)?
১। সরাসরি যক্তরাষ্ট্র থেকে ইম্পোর্ট করা।
২। সেরা মানের বাছাইকৃত আখরোট সরবরাহ করা হয়।
৩। সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হয়।
৪। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে প্যাকেজিং এরপর বেশ কিছু দিন ভালো থাকে।
Reviews
There are no reviews yet.